ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাকিব আল হাসানের ব্যাট আর বলের পারফর্ম্যান্সে ধারাবাহিকতা আর ভারসাম্য যেন চলছে হাত ধরাধরি করে। আজ থেকে শুরু বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড-বধ মিশন। যেখানে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই সাকিবের পায়ে লুটিয়ে পড়বে এক বিশ্বরেকর্ড, সঙ্গে আরেক অনন্য কীর্তিও!
টেস্ট, ওয়ানডে, ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই সাকিবের ব্যাটে বলে ছুটেছে সাফল্যের ফোয়ারা। ব্যাট হাতে যেমন তুলেছেন ১২ হাজার ২৫১ রান, তেমনি বল হাতেও তুলে নিয়েছেন ৫৯৪ উইকেট। এবার বোলিয়ের মাইলফলক আছে তার সামনে। আর মাত্র ছয়টা উইকেট নিলেই আন্তর্জাতিক আঙিনায় ৬০০ উইকেটের কীর্তি গড়বেন তিনি, এমন অর্জন নেই কোনো বাংলাদেশি বোলারের দখলে।
সেটা হয়ে গেলে আরও একটা কীর্তি গড়ে ফেলবেন সাকিব। আন্তর্জাতিক আঙিনায় খেলে গেছেন ইয়ান বোথাম, গ্যারি সোবার্স, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফদের মতো অলরাউন্ডার। কিন্তু ১২০০০ রানের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন ৬০০ উইকেটও, এমন কীর্তি নেই ক্রিকেট ইতিহাসের কোনো অলরাউন্ডারের। আর ছয় উইকেট পেলে তাদের না ছোঁয়া সেই কীর্তিই গড়ে ফেলবেন সাকিব।
এ তো গেল অনন্য কীর্তির কথা। সাকিবের সামনে আছে বিশ্বরেকর্ডও। সেটা গড়তেও সাকিবের চাই আর মাত্র ছয়টা উইকেটই। বর্তমানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বেশি উইকেট আছে লাসিথ মালিঙ্গার দখলে। ১০২ উইকেট নিয়ে দুইয়ে থাকা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার আর মাত্র ছয়টা উইকেট পেলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের বিশ্বরেকর্ডটাও নিজের করে নেবেন।
এর অনেক আগেই অবশ্য একটা চূড়ায় উঠে গেছেন তিনি। মালিঙ্গার পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ছুঁয়েছেন ১০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেটের মাইলফলক, তবে স্পিনার হিসেবে তিনিই প্রথম। এবার তার লড়াই শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নেওয়ার।
সে লড়াইয়ের জন্য নিউজিল্যান্ড সিরিজের চেয়ে ভালো কোনো প্রতিপক্ষ কি পেতে পারতেন সাকিব? কিউইদের পেলেই যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জ্বলে ওঠেন তিনি! এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং বিশ্লেষণটা তাদের বিপক্ষেই, ২০০৮ সালে কিউইদের বিপক্ষেই ৩৬ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। সব মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে তাদের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন ৬৫ টি উইকেট। সে সংখ্যাটা এই সিরিজেই যে ৭১-এ উন্নীত করতে চাইবেন সাকিব, তা বলাই বাহুল্য। অনন্য সব কীর্তি যে হাত বাড়িয়ে ডাকছে তাকে!
খুলনা গেজেট/এনএম