বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীর সংখ্যা চার কোটি বলা হলেও বছরে ঠিক কত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় বা মারা যায়, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন রোগীর হার দিন দিন বাড়ছে। দেশে মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। এসব রোগীর ৬২ শতাংশ চিকিৎসার বাইরে।
নিয়মিত ওষুধ সেবন করে মাত্র ১৫ শতাংশ। এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার (১৭ মে) পালিত হচ্ছে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। প্রতিবছর ১৭ মে সচেতনতার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। যাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৭৯ বছর। এসব রোগীর বেশির ভাগেই বাস করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে।
দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করে।
আলোচনাসভায় প্রজ্ঞার সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা মূল প্রবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৩-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৩০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী রোগীদের অর্ধেকেই জানেন না তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৫৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪৬ শতাংশ নারী। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩৮ শতাংশ চিকিৎসা নিলেও ৬২ শতাংশ রোগী থাকছেন চিকিৎসার বাইরে। নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন ১৫ শতাংশ।
খুলনা গেজেট/এইচ