খুলনা, বাংলাদেশ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬৭
  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২
  ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুক্রবার, ময়দান আসছেন মুসল্লিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব। কহরদরিয়া খ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ময়দান। ১৬০ একর জায়গার বিশাল ময়দানে শামিয়ানা টানানোর কাজ প্রায় শেষ। বৈদ্যুতিক বাতি, মাইক, জেনারেটর সংযোগ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক কাজও শেষ হয়েছে।

শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তবে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন।

ইজতেমার আয়োজকরা বলছেন, বুধবার থেকে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীরা। চার দিন বিরতি দিয়ে মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন।

এদিকে করোনার কারণে দুই বছর বন্ধের পর আসন্ন ইজতেমাকে ঘিরে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইজতেমা মাঠে প্রবেশের জন্য ১৩টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মূল প্রবেশ পথের পাশাপাশি তুরাগ নদীর ওপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা তৈরি করছেন ৫টি পন্টুন ব্রিজ, যা দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন।

শত শত স্বেচ্ছাসেবী শীত উপেক্ষা করে কাজ করছেন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। দ্বীনের কাজে আগত লোকদের মেহমানদারি করা কর্তব্য উল্লেখ করে মুসল্লিরা বলছেন, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় শ্রম দিচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার সরেজমিনে ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা যায়, ময়দানের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর পূর্ব পাড়ে নামাজের মিম্বার এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে বিদেশি মেহমানদের জন্য নির্ধারিত কামরার পাশে মূল বয়ান মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ময়দানের ভেতরের প্রবেশপথগুলো ইট-বালি দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আররি ভাষায় তরজমা করা হবে।

জামালপুর থেকে এক শ তাবলিগের সাথী নিয়ে ময়দানে এসেছেন আলহাজ আকরাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘ময়দানে জায়গা পেতে সমস্যা হয় বলে এবার আগেই চলে এসেছি। ময়দানে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করব এবং ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজে শরিক হবো।’

মুসল্লিদের থাকার সুবিধার জন্য এলাকা অনুযায়ী নম্বরভিত্তিক খিত্তা (থাকার জায়গা) নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ‘ইজতেমা মাঠে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্থানীয় ডেসকোর কয়েকটি টিম কাজ করছে। দুই মাস ধরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্ততি চলছে।’




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!