শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনার দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে শুক্রবার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল জার্মানি; আর এই রোগে এদিন সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়া আগের দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
মহামারির শুরু থেকে কোভিডে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের হালনাগাদ তথ্য প্রদানাকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের জানাচ্ছে, শুক্রবার জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৩৭ জন এবং এই রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জনের।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭০ জনের এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ জন।
জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে শুক্রবার করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে, সেই দেশসমূহ হলো— রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৭১ জন, মৃত্যু ৭৮৪ জন), ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৭৪৮ জন, মৃত্যু ১ হাজার ১১৪ জন), দক্ষিন কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৮২৮ জন, মৃত্যু ৪৫ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৭৫ হাজার ৬০৩ জন, মৃত্যু ২৪৪ জন), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ৮৭ হাজার ৪১১ জন, মৃত্যু ২৬৪ জন) এবং ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৮২ হাজার ৫৫৩ জন, মৃত্যু ৩০৪ জন)।
শুক্রবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ২৪ হাজার ২৯১ জন এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৫৯ জনের।
আগের দিন বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ২০ লাখ ৫৫ হাজার ৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ১১ হাজার ৬৩৯ জনের।
তবে শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার রোগীর সংখ্যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কম ছিল। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯৮ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৩ জন।
শুক্রবারের পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ১০৪ জন এবং এই রোগে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৯০৯ জন।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৬ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৭৭ হাজার ২২৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮২ হাজার ৫২১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।