মহামারির আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বিশ্বজুড়ে অব্যাহত আছে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। তবে প্রথম দুই বছর, অর্থাৎ ২০২০ ও ’২১ সালের তুলনায় চলতি বছর অনেকটাই কমে এসেছে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া ও প্রাণহানির হার।
শুক্রবার বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬১৪ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৬ জনের। এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৬০০ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
শুক্রবার করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যু-আক্রান্তের হিসেবে শীর্ষে ছিল ব্রাজিল; দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশটিতে এদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৮৭ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৯৪ জন।
জাপান ব্যতীত আরও যেসব দেশে এ দিন সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— জাপান (মৃত ৮৩, নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ৫১২ জন), যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ৭৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৮ হাজার ৯২২ জন), তাইওয়ান (মৃত ৫৬ জন, নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজার ৪৩২ জন), এবং রাশিয়া (মৃত ৩২ জন, নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজার ৮২৯ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১৬২ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০১ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৪০ হাজার ৫৬১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ১৬১ জনের।
এছাড়া গত প্রায় তিন বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬৫ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৫ জন।