প্রাণঘাতী শ্বাসতন্ত্রের রোগ করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৮৬ জন এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯৮১ জন। বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা অবশ্য আগের দিনের তুলনায় কিছু কম। আগের দিন বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৪২ হাজার ৩০৪ জন এবং এ রোগে মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৪৪১ জনের।
পাশাপাশি, এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যাও বেশি ছিল আগের দিনের চেয়ে। শুক্রবার বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩১৯ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৩ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই দিন দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৯২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬০৫ জনের।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল, সে দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৯৩ হাজার ৪৫, মৃত্যু ১১১), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৫৮ হাজার ১২৮, মৃত্যু ১৬২), জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৩৭৫, মৃত্যু ৪৫২), স্পেন (নতুন আক্রান্ত ৩৩ হাজার ৩৫৯, মৃত্যু ৪১), রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ২৭ হাজার ৭৪৩, মৃত্যু ১ হাজর ৮০) এবং ইতালি (নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৬৩২, মৃত্যু ১২০)।
শুক্রবারের সংক্রমণ-মৃত্যুর তথ্য যোগ হওয়ার পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ১৩০ জন, মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৪১০ জনে।
এছাড়া, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২৪ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৫ জন।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ২ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৯ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ২৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৯ হাজার ২১৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।