চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ২০০-র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ লাখে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ কোটি ১৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ ৭৯ হাজার।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ২৭০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় আড়াইশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৬ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৬৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩১ হাজার ৮৬০ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৩৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩৭৫ জনের।
এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৬৬ হাজার ৫৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮০১ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৫ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭৬ জন, রাশিয়ায় ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৮১ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন, তুরস্কে ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৪ জন, স্পেনে ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭১ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪১ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ১ হাজার ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ৯৮ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬২ হাজার ৫০৯ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৮৬ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ১৬৩ জন, তুরস্কে ৫১ হাজার ৮৭৫ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৯৩১ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ২৫৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৭ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।