করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৩ লাখ ৯২ হাজারের ঘরে।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ কোটি ৩৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার।
রোববার (৬ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে ১২০০-র বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৬ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৬৭ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৪ হাজার কম। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫ হাজার ২৪৯ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৭৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ১২ হাজার ২০০ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৬২৯ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ৮৮ লাখ ৮ হাজার ৩৭২ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৪ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৭ হাজার ৬৮৩ জন, রাশিয়ায় ৫১ লাখ ১৭ হাজার ২৭৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ২৬৯ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৩০ হাজার ১৫৩ জন, তুরস্কে ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ জন, স্পেনে ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৯৩৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৯ হাজার ৯৭৩ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ২৩ হাজার ৪৩৬ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৮৩৬ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৬ হাজার ৪৭২ জন, তুরস্কে ৪৭ হাজার ৬৮ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ১৯৬ জন, জার্মানিতে ৮৯ হাজার ৮২৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
খুলনা গেজেট/ টি আই