করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আগের দিনের মৃত্যু কমেছে আড়াই হাজারের বেশি। অন্যদিকে একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কম।
সোমবার (৩ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৬০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ লাখ ১৬ হাজার ২১৪ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ১৬০ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ৪৪১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬২ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯১০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৭১৫ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৫ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ২৪৭ জন, রাশিয়ায় ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ২৫৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ২০ হাজার ২০১ জন, ইতালি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬২ জন, তুরস্কে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৮ জন, স্পেনে ৩৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৭ জন, জার্মানিতে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৮ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৪ হাজার ৮১৯ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ১০ হাজার ৮৬২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৫৩৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ২১ হাজার ১৭৭ জন, তুরস্কে ৪০ হাজার ৮৪৪ জন, স্পেনে ৭৮ হাজার ২১৬ জন, জার্মানিতে ৮৩ হাজার ৮২৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১৭ হাজার ২৩৩ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।
খুলনা গেজেট/কেএম