বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকঋণের সুদহারের সম্ভাব্য চড়া বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্থরগতি ও চাহিদা কমার শঙ্কায় ফের দরপতন হলো জ্বালানি তেলের। টানা তিন দিন বাড়ার পর বিশ্ববাজারে কমে কৌশলগত পণ্যটির দাম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনে চাহিদা কমে যাওয়া এবং দেশটির কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংকটের প্রভাবও পড়েছে জ্বালানি তেলের দামের ওপর।
ব্রেন্টের অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১ ডলার ১৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে সোমবার (২২ আগস্ট) বিক্রি হয় ৯৫ দশমিক ৫ ডলারে।
একই দিনে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) সেপ্টেম্বর চালানের অশোধিত তেলের দাম ১ ডলার ১২ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয় ৮৯ দশমিক ৬৫ ডলারে।
এ বিষয়ে নিশান সিকিউরিটিজের গবেষণা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হিরোইউকি কিকুকাওয়া রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহারের চড়া বৃদ্ধির শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগে ছিল। এমন বাস্তবতায় কমেছে জ্বালানি তেলের চাহিদা।
তিনি আরও বলেন, ‘চীনের কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতিও উদ্বেগের বিষয়, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
তীব্র দাবদাহ ও খরায় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে গত সপ্তাহে বাড়িঘর, অফিস-আদালত ও শপিং মলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করা হয়। এর প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের দামে।
অন্যদিকে গত প্রায় পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিতে অশোধিত তেলের দাম কমেছে। ডলারের দাম বাড়লে অন্য মুদ্রায় তেলের জন্য আরও বেশি খরচ করতে হয় ক্রেতাদের।
খুলনা গেজেট/এমএনএস