শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৪৪ জন এবং করোনাজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ জনের। এছাড়া, বিশ্বে এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখ ৭০ হাজার ১৯ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য। ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে এইদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ১৮৭ জন এবং করোনাজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ৩৬০ জন।
অন্যদিকে শুক্রবার করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে— ৪৮৬ জন। পাশাপাশি, এদিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৪৫৯ জন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৩১ হাজার ৯১০ জন, মৃত্যু ২৯৭ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯, মৃত্যু ১৩৪ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৭৪ হাজার ৩৫০ জন, মৃত্যু ১৫৪ জন), ভিয়েতনাম (নতুন আক্রান্ত ৭২ হাজার ৫৫৬ জন, মৃত্যু ৩৩ জন), অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৬৪ হাজার ৫৪৫ জন, মৃত্যু ১৬ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৪৭ জন, মৃত্যু ৮৭ জন) ও যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ২৯ হাজার ৮২৫ জন, মৃত্যু ১৯১ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লাখ ৪২ হাজার ১৯৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৫৬ হাজার ৮৬০ জন।
শুক্রবারের পর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৮৯০ জনে এবং এই রোগে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯১ জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।