মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। যা পিছিয়ে আগামী বছরে নেয়া হয়েছে। আর এতেই বড় লাভ হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। চলতি বছরে এখনো তারা সব থেকে ব্যয়বহুল ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আইপিএল আয়োজন করতে পারেনি। তবে এখন আর কোন বাঁধা থাকলো না এ লিগ আয়োজনে। এখন ফাঁকা সময়টিতে হাজার কোটি টাকার এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
গত কয়েকমাস ধরে আইসিসির সঙ্গে রেভিনিউ নিয়ে বিসিসিআইয়ের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। বিসিসিআই চাইছিল, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেন পিছিয়ে দেয় হয়। কারণ আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে বিসিসিআইয়ের হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আইসিসি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। তবে আইসিসির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর শক্ত হাতে ভারতের দাদাগিরি প্রতিহত করতেন।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া চাইছিল চলতি বছরের শেষে ভারত যেন তাদের দেশে সফরে যায়। ভারতের মতো দল গেলে তাদের বিপুল পরিমাণ আয় হবে। যা দিয়ে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে। ভারত শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সফর নিশ্চিত করেছে। তবে তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, তাদের পক্ষে এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। এসব বিষয় মিলিয়ে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই দাবি করেছেন, বিশ্বকাপ পেছানোর পেছনে কলকাঠি নেড়েছে ভারত।
দিন দুয়েক আগেই খবর বেরিয়েছিল যে, এবারর আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়েজনে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত। কারণ ভারতে এখন করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ আইপিএলের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। ভারত এখন বিশ্বকাপের ফাঁকা উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজন করতে পারে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক ধাক্কা থেকে রেহাই পাবে। আর ভারতকে আতিথ্য দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার এক অনলাইন সভায় বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত দিলো সংস্থাটি। অস্ট্রেলিয়া এ বছর ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। এরপর আগামী বছর আরো একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছরের টুর্নামেন্টটা শেষ পর্যন্ত হবে কি না, এই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠেছিল গত কয়েক মাসে।
খুলনা গেজেট/এএমআর