করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে থাকা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো আবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রথম ধাপে কাতার আর বাংলাদেশ মৌখিকভাবে রাজী হয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচটি খেলার ব্যাপারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী ৪ ডিসেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ।
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব খেলাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদিও নানা পদ্ধতি বের করে, করোনামুক্ত পরিবেশে খেলা আয়োজনের চেষ্টা চলছে। ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগগুলো শুরু হয়েছে গত জুন থেকে। গত মৌসুমের খেলা শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে নতুন মৌসুমের খেলা।
ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইসহ সব ধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ স্থগিত করে দিয়েছিল। তবে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে, বায়ো-বাবল বলয়ের মধ্যে থেকে আয়োজন করা হচ্ছে খেলাগুলো। ফিফার মত এএফসিও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো স্থগিত করে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত এশিয়ায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো শুরু করা হয়নি।
যদিও ফিফা এবং এএফসি বলে দিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো চাইলে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে খেলতে পারবে। সেই কথার ওপরই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মৌখিকভাবে সম্মতিতে পৌঁছেছে যে, তারা এই ম্যাচটি খেলবে এবং সেটার সম্ভাব্য তারিখ ৪ ডিসেম্বর।
তবে কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফিফা এবং এফসির অনুমতি চেয়েছে ম্যাচটি আয়োজনের। সেই অনুমতি চলে আসলেই আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ ঘোষনা করা হবে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেং বাংলাদেশের ফিরতি পর্বের ম্যাচ বাকি কাতার, ভারত, আফগানিস্তান এবং ওমানের বিপক্ষে। এর মধ্যে শুধু কাতারের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ। বাকি তিনটি ম্যাচ হোমে, অর্থ্যাৎ ভারত, আফগানিস্তান এবং ওমান আসবে ঢাকায় খেলতে। গত বছর অক্টোবরে ঢাকার মাঠে কাতারের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছিল বাংলাদেশ। যদিও ওই ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে গিয়েছিল জামাল ভূঁইয়ারা।
এই ম্যাচ খেলতে ১৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে কাতার যাবে জামাল ভুঁইয়ারা দল। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে কোয়ারেন্টিনের সময় অনুশীলনের সুযোগ পাবে জেমি ডের দল। তবে, এখনো পর্যন্ত ম্যাচ আয়োজনে ফিফার ছাড়পত্র পায়নি কাতার। তবে, খুব শিগগিরই এ অনুমতি মিলবে বলেই আশা করছে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
খুলনা গেজেট/এএমআর