বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাকি চার ম্যাচের জন্য প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ৩৬ ফুটবলারকে তিন ভাগে ক্যাম্পে ওঠানো শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন ১২ জন করে ফুটবলার ওঠানো হবে গাজীপুরের সারা রিসোর্টে। নতুন ডাক পাওয়া এবং অপেক্ষাকৃত জুনিয়রদের রাখা হয়েছে ৫ আগস্টের তালিকায়। তারপর ১২ জন করে ওঠার কথা ৬ ও ৭ আগস্ট।
শেষ দিনে যে ১২ জনকে ক্যাম্পে উঠতে বলা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই সিনিয়র ফুটবলার। প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক রায়হান কাজী এবং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে যোগ দিতে বলা হয়েছে শেষ দিন, ৭ আগস্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে দুই জনের কারও পক্ষেই ক্যাম্পে যোগ দেয়া সম্ভব নয়। সোমবার পর্যন্ত কেউই ঢাকায় আসার ফ্লাইট নিশ্চিত করতে পারেননি।
ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড- দুই দেশ থেকেই উড্ডয়ন করা এখনও বেশ কঠিন। বিশেষ করে এশিয়ায় ঐ দুটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে রয়েছে বেশি কড়াকড়ি। তাই তারা কিভাবে ঢাকায় এসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি। ১৬ আগস্ট ইংল্যান্ড থেকে কোচরা চলে আসবেন সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে দুই প্রবাসী ফুটবলার কবে আসবেন সে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি বাফুফে থেকে।
প্রধান কোচ জেমি ডে ইংল্যান্ড থেকে জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘জামাল ও তারিকের এ মুহুর্তে আসা কঠিন। আমার মনে হয় না, ২০ আগস্টের আগে তারা কোনও ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে পারবে। এ সময়টা আসলেই বেশ কঠিন।’
এখনও টিকিট নিশ্চিত না হলেও কোচ জেমি ডে আশা করছেন, সহকারী স্টুয়ার্টকে নিয়ে ১৬ আগস্ট তিনি আসতে পারবেন। তবে ফিটনেস কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও ফিজিও কবে নাগাদ আসতে পারবেন তা নিশ্চিত নন জেমি ডে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ অবশ্য বলছেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে আমরা ৫ জনকেই একসঙ্গে ফ্লাই করানোর চেষ্টা করব। যদিও নতুন যে তিনজন আসবেন ফিটনেস কোচ, ফিজিও ও গোলরক্ষক কোচ তাদের নিয়োগ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুই-তিনের মধ্যেই আমরা নতুন চারজন চূড়ান্ত করে ফেলব এবং তাদের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাব।’
খুলনা গেজেট/এএমআর