ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আপসেট? বলতেই পারেন চাইলে। চারবারের বিশ্বকাপজয়ী দল। তার চেয়েও বড় কথা এবারই যারা দুর্দান্ত খেলে জিতেছে ইউরো; তারাই থাকছে না বিশ্বকাপে! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই এখন নির্মম বাস্তবতা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর কাতারেও দেখা যাচ্ছে না ইতালিকে।
নথ মেসিডোনিয়ার কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের সেমিফাইনালে ১-০ গোলে হেরে গেছে ইতালি। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি আক্রমণ করে গেছে ইতালি, নিয়েছে অনেক শট। কিন্তু বেশির ভাগ শটকেই তারা লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। শেষ অবধি তাদের স্বপ্ন ভাঙে আলেসান্দার ত্রাজকোভস্কির অসাধারণ গোলে।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না ইতালির। ১৯৫৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় দেশটি। সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি তারা।
ইতালির সামনে অবশ্য সুযোগ এসেছিল ম্যাচের ৩০তম মিনিটেই। নর্থ মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির এক মারাত্মক ভুল করে বসেন। নিজেদের এক খেলোয়াড়কে বল বাড়াতে গিয়ে তিনি দিয়ে ফেলেন দোমেনিকো বেরার্দিকে। কিন্তু দেরি করে নেওয়া তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
দুই মিনিট বাদে আবারও লরেঞ্জ ইনসিনিয়ের শট আটকে দেন মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ইতালি। মেসিডোনিয়ার ফুটবলারদের আক্রমণের কোনো ইচ্ছেই ছিল না। বল পেলেও তারা সেটাকে লাত্থি দিয়ে কোনোরকমে দূরে সরিয়েছেন।
গোলশূন্য অবস্থায় থেকেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে। দ্বিতীয়ার্ধেও একই রকম ঘটনা ঘটতে থাকে। ইতালি আক্রমণ আর মেসিডোনিয়ার ব্যস্ততা ছিল ডিফেন্সে। ৫৮তম মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির ডিফেন্স চেরা পাসে ডি বক্সের মাথা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেরার্দি। নষ্ট হয় দারুণ আরেকটি সুযোগ।
৯০ মিনিট শেষে পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। ইতালির প্রস্তুতি শুরু হচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ের জন্য। কিন্তু তখনই মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে আড়আড়ি শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন ত্রাজকোভস্কি। ইতালির আশার সমাপ্তি ঘটে সেখানে।