আইসিসির সবগুলো বৈশ্বিক আসরই ফেবারিটের তকমা নিয়ে শুরু করে ভারত। যদিও ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর আর কখনোই কোনো বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি তারা। যদিও এর মধ্যে ওডিআই, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট তিন সংস্করণেই ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। তবে প্রতিবারেই ব্যর্থতা হয়েছে তাদের সঙ্গী।
কদিন পরেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জমজমাট আসর। ২০১০ সালের পর আরও একবার ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর ফিরেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে। সঙ্গে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৪ বছর আগে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ছিল ছন্নছাড়া। কিন্তু এবার তারা যাচ্ছে টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ইয়ন মরগান মনে করেন, এবারের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড ভারতের। ১১ বছর ধরে বৈশ্বিক আসরে সফলতা না পেলেও ভারতের ফেবারিট হওয়ার অন্যতম কারণ তাদের স্কোয়াডের গভীরতা।
ভারতের জাতীয় দলে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব তেমন একটা দেখা যায় না। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে সূর্যকুমার যাদব। অথবা যশপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজের মতো বোলার। তবে নক আউট স্টেজে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলার ঘটনা ভারতের জন্য নতুন না। শেষ এগারো বছরে পাঁচটি ফাইনাল হেরেছে তারা। এছাড়াও সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বেশ কয়েকবার।
এতকিছুর পরেও ভারতকেই ফেবারিট মানছেন মরগান। টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দেশটিকে নিয়ে মরগান বলেন, ‘ইনজুরি সমস্যা থাকার পরেও নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। কাগজে-কলমে শক্তিমত্তার বিচারে তারা এবার অপ্রতিরোধ্য। তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুয়ায়ী খেলতে পারলে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব।’
এবারের বিশ্বকাপে ভারত আছে ‘এ’ গ্রুপে। ৫ জুন নিউইয়র্কে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ৯ তারিখ আসরের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে তারা। দলের বেশিরভাগ সদস্য এই মুহূর্তে আছেন যুক্তরাষ্ট্রেই। মূল বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে তারা।
খুলনা গেজেট/এএজে