খুলনা, বাংলাদেশ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নগরীতে গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আহত, ছুরিকাঘাতে যুবক জখম
  করোনা ডেঙ্গুতে মৃত্যু অব্যাহত, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
  পিটিয়ে বিএনপি নেতার চোখ নষ্টের মামলা : খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বিরানি খেতে গিয়ে লাশ পুরো পরিবার

গেজেট ডেস্ক

‘কোথায় গেলি ও সম্পূর্ণা, ও সান, ও পপি…। এ কী হয়ে গেল আমাদের? আগুনে একটি পরিবার শেষ হয়ে গেল?’। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে এভাবেই চিৎকার করছিলেন পীযুষ পোদ্দার। বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন তাঁর বোন পপি, ভাগ্নে সান রায় (১০) ও ভাগ্নি সম্পূর্ণা রায় (১২)।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মর্গের সামনে কথা হয় পীযুষ পোদ্দারের সঙ্গে। তিনি জানান, ভাগ্নি সম্পূর্ণা পড়ত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণিতে। আর সান রায় পড়ত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে। বাবা–মায়ের সঙ্গে মালিবাগে থাকত তাঁরা।

সম্পূর্ণা ও সানকে বৃহস্পতিবার স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন মামা পীযুষ পোদ্দার। স্কুল শেষে আবার বিকেলে তাদের বাসায় নিয়ে আসেন তিনি। সম্পূর্ণা ও সান মা পপি রায়কে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যার সময় আসেন বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয়।

পিযুষ পোদ্দার বলেন, রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে চলে যান। এসে দেখেন দাউ দাউ করে রেস্তোরাঁ জ্বলছে। কিন্তু কোথাও পপি, সম্পূর্ণ ও সানের খোঁজ পাননি। এরপর মধ্যরাতে ছুটে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। সম্পূর্ণা ও সানের মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু পপির কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না।

বেইলি রোডের বহুতল ভবনের আগুনে সম্পূর্ণা, সানের মতো ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাত একটার পর একে একে বেইলি রোড থেকে লাশের সারি আসতে থাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। খবর পেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ছুটে আসেন নিহতদের স্বজনেরা।

একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন মেহেরা কবির (দোলা)। তাঁর বোন মায়েশা কবির পড়তেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দুই বোন মিলে মতিঝিলে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মতিঝিল থেকে তারা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খেতে আসেন। আগুনে পুড়ে এই দুই বোনও মারা গেছেন। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের বাতাস।

আগুনে পুরো পরিবার শেষ

দুই সন্তান আয়ান (৮) ও আয়াতকে (৬) নিয়ে বেইলে রোড এলাকায় বসবাস করতে নাজিয়া আক্তার (৩১)। তাঁর স্বামী মো. আশিক পেশায় ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যবসার কাজে বনানীতে যান। নাজিয়া দুই সন্তানকে নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বামীকে ফোন দিয়ে বলেন তাঁরা বিপদে আছেন।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!