সবাইকে নিত্যনতুন চমক-কারসাজি দেখিয়ে মাতিয়ে রাখতে টম ক্রুজের জুড়ি নেই। ভয়ঙ্কর-ভয়ঙ্কর সব কাণ্ড করে বসেন এই দুঃসাহসিক অভিনেতা। ৬০ বছর বয়সে মহাকাশচারী হওয়া টম ক্রুজের কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। তার এই সাহসিকতা নিয়ে সবসময় নির্ভার থাকেন নির্মাতারা। সেজন্য ‘মিশন: ইম্পসিবল-ডেড রেকনিং’ ছবির শুটিং মহাকাশেই করার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাকারি।
রোদ ঝলমলে নীল আকাশ এখন টমের কাছে বাড়ির মতো। গত রোববার ফুরফুরে সকালে বিমান থেকে সটান ঝাঁপ দিলেন টম। সবাইকে বড়দিন আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে যেতে ভুললেন না।
সেই ভিডিও দেখে শুরুতে আঁতকে উঠলেও মজা পেয়েছেন অনুরাগীরা। নায়ককে তো তারা চেনেনই। তার অভিধানে ‘অসম্ভব’ বলে যে কিছুই নেই।
টমের ভাগ করে নেওয়া ভিডিওটির ওপরে অবশ্য লেখা ছিল, বিশেষ বার্তা দিতে চান তিনি। চালাতেই বোঝা গেল, দর্শককে আন্তরিক ধন্যবাদ দিতেই বছর শেষে এমন কাণ্ড করলেন। টমকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে বলতে শোনা যায়, “প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটি দেখার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে বছর শেষ করতে চাই না।” টম অভিনীত সদ্য হিট ছবি ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এর জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গেই এ কথা, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না কারও। নায়ককে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন অনুরাগীরা।
এর পরই টম জানান, বিনোদন দিতে থাকবেন তিনি। শুটিংয়ের মাঝে যে রয়েছেন তা-ও বোঝা যায় বিমানে বসে থাকা ‘মিশন ইম্পসিবল’ ছবির পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাকারির কথায়। তিনিও টমের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান। কিন্তু ভিডিও শেষ হয়ে যায় আগেই। সবাইকে নিরাপদে সপ্তাহ কাটানোর শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজে ঝাঁপ দেন অভিনেতা।
‘মিশন ইম্পসিবল-ডেড রেকনিং’ ছবির প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাগের শুটিং চলছে। পরিচালক জানান, আগেই পরিকল্পনা পাকা ছিল। ছবিটি স্টুডিয়োতে নয়, মহাকাশেই তৈরি হবে। স্পেস স্টেশন সেখানে বড় ভূমিকা নেবে। যদিও অতিমারি সব ভেস্তে দেয়। কাজ শুরু হয় চলতি বছরে।
উচ্চাভিলাষী টমের ক্যারিয়ারেও এটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ। তিনিই প্রথম অভিনেতা যিনি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে অভিনয় করেছেন। ছবি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই।