যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জনসমাগমে হাজির হয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও রবিবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তাই সাকিবকে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের জন্য ফিটনেস টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চিঠি দিয়েছে বিসিবি। সোমবার ( ৯ নভেম্বর) শুরু হতে চলা ফিটনেস টেস্টে সাকিবসহ জাতীয় দলের বাইরে থাকা ১১২ ক্রিকেটার অংশ নিবেন।
মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে সকাল ৯টায় শুরু হবে ফিটনেস টেস্ট। সকাল ১০টায় টেস্ট দেয়ার কথা সাকিবের। এদিন মোট ৮০ জন টেস্ট দিবেন। মঙ্গলবার ৩৩ জন অংশ নিবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্কসহ ক্রিকেটারদের নিজ নিজ টেস্টের ৩০ মিনিট আগে রিপোর্ট করতে হবে। ক্রিকেটারদের এই ফিটনেস পরীক্ষা বিপ টেস্ট নাকি ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে নেয়া হবে তা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিটনেস ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার জানিয়েছেন, বিপ টেস্টের মাধ্যমেই এবার ক্রিকেটারদের ফিটনেস্ট টেস্ট হবে। তিনি আশাবাদী ক্রিকেটাররা আশানুরূপ ভালো অবস্থানে থাকবেন ফিটনেস টেস্টে।
ফিটনেস টেস্ট উতরে গেলেই পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের ড্রাফটে নাম তুলতে পারবেন ক্রিকেটাররা। পাস মার্ক ১১। আর এটাই বড় চ্যালেঞ্জ মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিসের মতো বিসিবির কাঠামোর বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য। কারণ তাদের প্রতি বিসিবির নজর ছিল না। করোনাকালে নিজস্ব প্রচেষ্টায় নিজেদের ফিট রাখার চেষ্টা করেছেন তারা। এখন অবতীর্ণ হচ্ছেন ফিট প্রমাণের চ্যালেঞ্জে।
অনেক বছর ধরেই বিপ টেস্ট দিয়েই ফিটনেসের লেভেল তুলে ধরছেন ক্রিকেটাররা। এবার সেটি পরিবর্তন করে ইয়ো ইয়ো টেস্ট প্রবর্তনের কথা উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত বিপ টেস্টই রাখা হচ্ছে সবার সুবিধার কথা বিবেচনা করে।
বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার বলেছেন, ‘আগামীকাল যে টেস্টটা, সেটা বিপ টেস্টই হবে। আমরা আশা করি ওরা যে ট্রেনিংটা করেছে ব্যক্তিগতভাবে, আমরা তাদেরকে সেই আগের অবস্থায় পাবো। আমরা আপাতত ইয়ো ইয়ো’টা করছি না ওদের জন্য। কারণ তারা বিপ টেস্ট দিয়ে অভ্যস্ত। তো এখন তারা এই টেস্টই দেবে।’ তবে ভবিষ্যতে বিসিবির প্রতিটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আগে ইয়ো ইয়ো টেস্টে অংশ নিতে হবে ক্রিকেটারদের।
খুলনা গেজেট/এএমআর