খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবিতে আজ সারাদেশের জুলাই আন্দোলন পয়েন্টে গণজমায়েত
  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি লাইনচ্যুত, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ
  ভারতে বাংলাদেশের ৪টি বেসরকারি টেলিভিশনের ইউটিউব বন্ধ করা হয়েছে

বিপিএল না হলে বড় আর্থিক ক্ষতি হবে বিসিবির

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের অনেক ক্রিকেট বোর্ড। অনেকেই ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলে গেছে, কোনও কোনও বোর্ড কর্মী ছাটাই বা বেতন কমানোর দিকেও অগ্রসর হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান অবশ্য ভিন্ন। ব্যাংকে পর্যাপ্ত অর্থ থাকায় এখনও ওইসব পথে অগ্রসর হয়নি বিসিবি।

যদিও বিসিবির আয়ে করোনার প্রভাব বাজেভাবেই পড়েছে। এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ না হওয়াতে বড় অঙ্কের অর্থপ্রাপ্তি হলো না বিসিবির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ালে বিসিবির কোষাগারে কমপক্ষে তিন লাখ ডলার জমা পড়তে পারত।

বাংলাদেশ দল কোনোভাবে সুপার টেনে উঠলে সাড়ে ৩ লাখ ডলার এবং যদি সেরা চারে উঠত, তাহলে ৭ লাখ ডলার পেতে পারত বিসিবি। এমনকি এশিয়া কাপ থেকেও কমপক্ষে দুই লাখ ডলার পেতে পারত বিসিবি। এই অর্থগুলো এই বছরই পাচ্ছে না বিসিবি। এর মাঝে যদি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন না করা হয়, তাহলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিবি।

কেননা বিপিএল থেকে অন্তত ২৫ কোটি টাকা লাভের আশা ছিল বিসিবির। আইসিসি বা এসিসির ইভেন্ট পরবর্তী সময়ে হলেও ব্যস্ত সূচির কারণে চলতি বছরের বিপিএল পরের বছর হওয়া নিয়েও থাকছে শঙ্কা।

এই ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আনুমানিক হিসাব করা যাবে না। এগুলো নির্ভর করবে আইসিসি কীভাবে তাদের স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তি করে। আর্থিকভাবে বড় ক্ষতি হচ্ছে না, কিছুটা ক্ষতি হচ্ছেই। হচ্ছে না বলাটা ঠিক হবে না। ইতিবাচক দিক হচ্ছে এগুলোর আবার তারিখ ঠিক হয়ে গেছে। ২০২০ এ যেটা হচ্ছে না, সেটা ২০২১ এ হবে। এশিয়া কাপেরও তারিখ একটা ঠিক করা আছে। তারিখ যেহেতু ঠিক করা আছে, ঐ ভাবে চিন্তা করলে বড় অঙ্কের ক্ষতি হবে না। কারণ টুর্নামেন্টটা তো হচ্ছে।

এসব কিছু জায়গা আছে যেখানে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হবে, এটা তো হবেই। এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে। আবার আমাদের একটা বড় ক্ষতি হবে যদি বিপিএলটা না করতে পারি।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ হচ্ছে, এমনটা বিবেচনা করে গত এপ্রিল-মে’তে ৩০-৩৫ কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছিলেন বিসিবির কর্মকর্তারা। কিন্তু বৈশ্বিক দুটি আসর না হওয়ায় ক্ষতির অঙ্কটা বেড়ে ৬০-৭০ কোটিতে চলে গেছে।

খুলনা গেজেট/এএমআর




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!