সাইফ হাসানকে স্লগসুইপে জোড়া ছক্কার পর দুই বল ডট। একই শট খেলতে গিয়ে সাইফের কুইকার ডেলিভারি দুবারই লাগে তাওহীদ হৃদয়ের পায়ে লাগে। বিধ্বস্ত সাইফ এলবিডব্লিউর আবেদন না করতেই রিভিউ চেয়ে বসেন! আম্পায়ার অধিনায়কের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিলেন। মিড অফে দাঁড়ানো তাসকিন আহমেদ রিভিউ বাতিল করেন।
পরপর দুই চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়া তাওহীদ তৃতীয়বারের চেষ্টায় এবার আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারির বাইরে। শুধু সাইফ নন, তাসকিন-শরিফুলদের বিধ্বস্ত করে তাওহীদ তুলে নেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি। সঙ্গে দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পায় চার উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয়।
দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই তরুণ তুর্কি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝরিয়েছেন ছক্কা বৃষ্টি। ডাউন দ্য উইকেটে এসে তাসকিনকে যেভাবে লং অফে আছড়ে ফেললেন সেটি ক্রিকেট ভক্তদের মনে গেঁথে থাকবে অনেক দিন। ৫৩ বলে সেঞ্চুরির পর এই তাসকিনকেই ফ্লিক করে দারুণ ছয়টি ছড়িয়ে যায় আগের শটকেই! স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাওহীদের প্রথম সেঞ্চুরিটি কোনো ব্যাটারের প্রথম।
তার এমন সাহসী ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ঢাকার ১৭৬ রানের লক্ষ্য সহজে পৌঁছে যায় ভিক্টোরিয়ান্স শিবির। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকা ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। তাওহীদ ৫৭ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ৭ টি ছক্কা ও ৮টি চারে সাজিয়েছেন চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি। এই তাওহীদ গতবার খেলেছেন রানার্সআপ সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০৩ রান করে নজর কেড়েছিলেন। জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। কথায় আছে রতন চিনতে ভুল করেন না, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কোটি টাকার বেশি খরচ করে ড্রাফটের আগেই নিজেদের শিবিরে নিয়ে নেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান কোচ।
ঢাকার তাসকিন-শরিফুলদের এক প্রকার একাই নাচিয়েছেন তাওহীদ। মাঝে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ব্রুক গেস্ট। দুজনের জুটি থেকে আসে ৬৯ বলে ৮৪ রান। ৩৫ বলে ৩৪ রান করে গেস্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। গেস্ট ফিরলে রেইফার এসে ফেরেন দ্রুত (৬)। এরপর জাকের আলী অনিককে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান কোটি টাকার তাওহীদ।
খুলনা গেজেট/কেডি