বিপিএলের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো টুর্নামেন্ট সেরার দাবিদার সাকিব আল হাসান। প্রথম আসর থেকে চারবার সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা সাকিব ব্যাটে-বলে এবারও টেক্কা দিচ্ছেন তরুণ আর অভিজ্ঞদের। প্লে অফ পর্বে বিপিএল। বাকি চার ম্যাচে নির্ধারিত হবে কে সেরা। পুরোনো চ্যাম্পিয়ন নাকি নতুন কারো হাতে উঠবে শিরোপা সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আর কিছুদিন পরই।
চারবারের বিপিএল সেরা কুমিল্লা। ২০১৭’তে রংপুর জিতেছিলো শ্রেষ্ঠত্ব। ফাইনাল খেললেও আক্ষেপ আছে বরিশালের। প্লে-অফে ওঠা চট্টগ্রামের নেই সে অভিজ্ঞতাও। সমালোচনা সঙ্গী করে এবারও শুরু হয়েছিলো বিপিএল। ৩৫ দিনের লিগ পর্বে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি গল্প অনেক।
মনোমালিন্যের জেরে আলোচনায় সাকিব-তামিম। পারফরম্যান্সেও দুই সিনিয়র সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। চোখের সমস্যা মানিয়ে নিয়ে অলরাউন্ডার সাকিব দ্যুতি ছড়িয়েছেন। বল হাতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। ১১ ম্যাচে দেশের পোস্টার বয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৯ রান।
তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে সবার উপরে। ৩৯১ রান নিয়ে এখন টপ স্কোরার। সিনিয়রের সঙ্গে সেরা ব্যাটারের দৌড়ে দুই তরুণ তাওহীদ হৃদয় ও তানজীদ তামিম। সাকিবের চেয়ে ৫ উইকেট বেশি শরিফুলের। যদিও ঢাকার বিদায়ে ২২ উইকেট নিয়ে থামতে হয়েছে এ পেসারের। শীর্ষ দশ বোলারের সাতজনই শরিফুলের মত পেস সেনানী।
লিগ পর্বে হয়েছে দুই হ্যাটট্রিক। মঈন আলীর পাশে সেখানেও শরিফুলের নাম। দুশ্চিন্তার কারণ নাজমুল শান্তর অফ ফর্ম। ব্যাট হাতে ফ্লপ জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক। নেই হাফ সেঞ্চুরি। ১২ ম্যাচে সংগ্রহ ১৭৫ রান। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ আফিফ হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
সবথেকে সুখকর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রত্যাবর্তন। ইনজুরির কারণে শুরু থেকে খেলতে পারেননি এ অলরাউন্ডার। ৬ ম্যাচে ১০ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন। বিপিএল দিয়ে যার উত্থান সেই আলিস আল ইসলামের প্রত্যাবর্তনও বিপিএল দিয়ে। সবশেষ জাতীয় দলের নতুন চমক। ৯ ইনিংসের ৭টিতে অপরাজিত জাকের আলী। স্ট্রাইক রেটে ১৫০’র বেশি। পাওয়ার হিটিংয়ে বাংলাদেশ দলেও ফিনিশার হওয়ার দাবিদার কুমিল্লার উইকেটকিপার ব্যাটার।
খুলনা গেজেট/এনএম