যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের দেবপাড়া এলাকায় সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছেন।
জানা গেছে, ওই দিন বৈদ্যুতিক স্পৃষ্টে মৃত্যু হলে সবিতা রাণীকে ফেলে দেন সেপটিক ট্যাংকে আপন ২ ভাই আজিত মোড়লের দুই ছেলে রমজান (৩৭) ও ইউনুস (৪২)। গেল ২৩ সেপ্টেম্বর সবিতা রানী দে (৫২) নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশী নিয়ামুলের সেফটি ট্যাংক থেকে সবিতা রানীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিকে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভয়নগরে সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয়রা বলছেন, ইউনুসের পোল্ট্রি ফার্মের শেয়াল কুকুরের জন্য দেয়া হয় বিদ্যুৎ। ওই দিন সোমবার সকালে দোকানে যাওয়ার সময় সবিতা গরুর খাবার সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশের একটি বাঁশ বাগানের দিকে চলে যান। পরে ইউনুসের পোল্ট্রি ফার্মে সবিতা বৈদ্যুতিক স্পষ্টে মারা যান। এসময় রমজান ও ইউনুস তাদের পোল্ট্রি ফার্মের পাশে লাশ দেখতে পান। ভয়ে তারা লাশ নিয়ে নিয়ামুলে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে সবিতার স্বামী মিলন বলেন, দুপুরে ফোন করলে সবিতার ফোন বন্ধ পায়। দ্রুত বাড়ি ফিরে তিনি ঘরের দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান। এসময় প্রতিবেশী আত্মীয় সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন । পোল্ট্রি ফার্মের মালিক ইউনুছ ও তার ভাই রমজান সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয় আমার স্ত্রীকে। পরে থানা যেয়ে নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি। তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে।
এদিকে, বৈদ্যুতিক স্পষ্টের কারণে যদি সবিতা রানী দে’র মৃত্যু হয়ে থাকে।তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি।
এলাকাবাসীর এবিষয়ে অভয়নগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন কুমার দে একটি মামলা দায়ের করেছেন, এবং একই এলাকার দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গরুর খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন সবিতা। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। এদিন রাত ৭ টার দিকে প্রতিবেশী আত্মীয়ের ফার্মে সবিতার মরদেহ রাজমিস্ত্রি নিয়ামুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে