যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৫০নং গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. লিটন সরদারের বিরুদ্ধে শুভরাড়া ইউনিয়ন সিনিয়র স্বাস্থ্যসেবা কর্মী মমতাজ খাতুন লিখিত অভিযোগ করেছেন। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর এ লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগকারী স্বাস্থ্যসেবা কর্মী মমতাজ বেগম জানান, গত ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ৫০নং
গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদানে ব্যস্ত ছিলেন। সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় উক্ত বিদ্যালয়ের দপ্তরী লিটন সরদার তার সঙ্গে নোঙরা আচরণ করে কুপ্রস্তাব দেন। যে কারণে সরকারি কাজ বাধাগ্রস্ত ও টিকাদানে সমস্যা হয়। তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বে লিটন সরদার ওই স্কুলের এক অভিভাকের শ্লীলতাহানির অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছেন। বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে দপ্তরী লিটন সরদারের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার বিশ্বাস জানান, দপ্তরী লিটনের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক বরাবর স্বাস্থ্যসেবাকর্মী মমতাজ খাতুন কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। ঘটনার দুই দিন পর তিনি লিটনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন। বর্তমানে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নাই। এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ফারুক খান জানান, দপ্তরী লিটনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। নারী কেলেঙ্কারির সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার মত কর্মচারি না থাকা উত্তম।
অভিযুক্ত দপ্তরী লিটন সরদার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য ওই স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করছেন। শ্লীলতাহানির অপরাধে জরিমানা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন এক কারণে গ্রামবাসীর চাপে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছিলাম। তবে সেই টাকা গ্রামের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজে দেওয়া হয়েছিল।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বব পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. লিটন সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।