তেরখাদার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন দখল করে বসবাস করে আসছেন সহকারি শিক্ষক শিলা রানী মন্ডল। প্রায় ৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে তিনি এখানে বসবাস করছেন। এতে শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি বিব্রত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়টিতে গিয়ে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রনি শিকদার ও ইমরুল মোল্যা বলেন, সহকারি শিক্ষক শিলা রানী মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের একটি ভবন সম্পুর্ণ দখল করে বসবাস করে আসছেন। ভবনের ভেতরে টিনশেডের বেড়া তৈরি, রান্না-বান্না, গোসল ও বিদ্যালয়ের মাঠের সামনে কাপড় শুকাতে দেয়াসহ গৃহস্থালি পরিবেশ তৈরি করে বিদ্যালয়ের ভবনটিকে রীতিমতো বাড়িতে রূপ দিয়েছেন। বিদ্যালয় চলাকালেও তিনি থাকেন ওই ভবনটিতে। তাঁর এমন কর্মকান্ডে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা বিব্রত হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের শিলা ম্যাডাম স্কুলেই থাকেন। প্রায়ই স্যারের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও সন্তানদের দেখা যায়। স্কুল মাঠের সামনে সব সময় কাপড়-চোপড় শুকানোর জন্য টানানো থাকে।’ অভিভাকদের অভিযোগ, সহকারি শিক্ষক শিলা রানী মন্ডল বাসা ভাড়া না নিয়ে স্কুলকে নিজের বসতবাড়ি বানিয়েছেন। ফলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে।
সহকারি শিক্ষক শিলা রানী মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও একাডেমিক সুপারভাইজারের অনুমতি নিয়ে আমি ভবনটিতে বসবাস করি। আমার এখানে থাকার বৈধতা রয়েছে।’
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার মোহান্তের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শাহেলা সুলতানা বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ দখল করে কোনো শিক্ষকের বসবাস করার সুযোগ নেই।’ সহকারি শিক্ষককে বিদ্যালয়ে বসবাসের অনুমতি প্রদানের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়ে এভাবে বসবাস করা বিধিসম্মত নয়। দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ