ভরতীয় পর্যটকবাহী প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাসে’ করে আবারও সুন্দরবনে আসছেন বিদেশি পর্যটক।বুধবার (২২ মার্চ) সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন থেকে সরকারি রাজস্ব দিয়ে তারা বনের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করবেন। এ যাত্রায় চারজন সুইস এবং দুইজন জার্মান পর্যটক থাকবেন। এসময় তাদের সঙ্গে দু’জন সশস্ত্র বনরক্ষী নিযোজিত থাকবেন বলেও খুলনা বনাঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিহির কুমার দো বলেন, প্রথমে বিদেশি এই ছয় পর্যটক বুধাবার (২২ মার্চ) সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন থেকে সুন্দরবন ভ্রমনের জন্য তাদের সরকারি রাজস্ব ফি জমা দিবেন। সেখান থেকে ওইদিন তারা বনের হারবাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে যাবেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসে করে তারা যাবেন সুন্দরবনের কচিখালী এলাকায়। সেখানে ভ্রমন করে পরদিন ২৪ মার্চ তারা কটকা এলাকার জামতলা সী বিচ ঘুরে দেখে রাতেই আবার ওই প্রমোদতরীতে উঠবেন। এদিন পশুর নদী পাড়ি দিয়ে পর্যটকবাহী বিলাসবহুল এই প্রমোদতরী ২৫ মার্চ বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ভ্রমন শেষে ওইদিনই আবার নদী পথে খুলনার আংটিহারা এলাকায় ইমিগ্রেশন করতে যাবেন এই বিদেশি পর্যটকরা। ২৬ মার্চ ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জলসীমা ত্যাগ করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চারজন সুইস, দুইজন জার্মান ও একজন অস্ট্রেলিয়ানসহ ২৮ জন পর্যটক নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী দিয়ে সুন্দরবনের নৌ সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যটকবাহী বিলাসবহুল পাঁচ তারকা মানের এ জাহাজটি মোংলা বন্দরের জেটিতে আসলে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী অভ্যার্থনা জানান।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ছয় পর্যটক ছাড়া বাকি পর্যটকরা গত ১৯ মার্চ ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বিন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড