বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতাকে এত গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, বিদেশিরা মঙ্গল চায় না, তারা অশান্তি চায়। অশান্তি হলে দেশ যদি দুর্বল হয়, তাহলে তাদের অনেক সুবিধা। এ কারণে তারা দুর্বল করতে চায়। ওদের এই ভেল্কিতে আপনারা অবগাহন করবেন না, বুঝে-শুনে অবস্থান নেবেন।
বুধবার (০৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট। সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী।
সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারুক শাহ, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী বক্তব্য দেন।
বিদেশিদের তৎপরতার বিষয়ে জনগণকে বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ড. মোমেন বলেন, দেশের উন্নয়ন দেশের মানুষ ও সরকার করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর বিশ্বাস করে, জনগণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে শুধু বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ এ বছর আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। ওইগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।
আগামী নির্বাচন দেশের জন্য একটি ‘বড় পরীক্ষা’ হবে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনে যদি আমরা শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে উন্নয়নের গতিধারা বজায় থাকবে।
খুলনা গেজেট/কেডি