বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে। এবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় ৭ সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে ৭ সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
তাঁরা হলেন—একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তা প্রধান মুন্নী সাহা, একাত্তর টিভির প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট ফারজানা রুপা, একাত্তর টিভির চাকরিচ্যুত হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
এর আগে গত বুধবার সকালে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে ডিবিতে হস্তান্তর করে।
একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট ফারজানা রুপার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় পোশাককর্মী ফজলুল করিম হত্যা মামলায় তাঁদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সারা দেশে আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা দায়ের হয়। এবার সে সব মামলায় সাংবাদিকদেরও আসামি করা হচ্ছে।