‘অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো’— টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর গতকালের ফেসবুক পোস্ট ছিল এটি। পোস্টটি নজরে আসতেই অনেকে এটির সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারত মুমূর্ষু ঐন্দ্রিলা শর্মার যোগসূত্র খুঁজে পান। বিতর্ক যখন চারদিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল তখনই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন অভিনেতা।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেদিন রাতেই অস্ত্রোপচার হয় তার। তখন থেকেই দীর্ঘ ১৭ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে আছেন তিনি। তারমধ্যেই বুধবার (১৬ নভেম্বর) পর পর দু’বার হার্ট অ্যাটাক। তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন টলিউডের তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন। তবে সবটাই কি ফেসবুকে? এত অজস্র ফেসবুক-প্রার্থনা আদৌ কোথাও পৌঁছাচ্ছে? ঈশ্বর কি ফেসবুক পড়ে সাড়া দেবেন? পরোক্ষভাবে প্রশ্নটা তুলেছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
গতকাল বুধবার ফেসবুক পোস্টেই লিখেছিলেন কথাগুলো— এতেই বিতর্ক বাড়ে। তার পোস্টের উল্টো অর্থ করেন অনেকেই। অধিকাংশই ভেবেছিলেন ঐন্দ্রিলার কথা বলছেন ঋত্বিক। তাছাড়াও দুঃসময়ে যুক্তি দেখিয়ে মানবিকতা এবং বিশ্বাসের মূলে আঘাত হেনেছেন বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এটা ঘিরেই তর্কাতর্কি চলে প্রায় ২২ ঘণ্টা। তারপর বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আবার একটি পোস্ট করেন অভিনেতা।
সেখানে লিখেছেন, ‘কাল একটা পোস্ট করেছিলাম, পরে কমেন্ট দেখে বুঝলাম অনেকেই লেখাটাকে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করেছেন। আমার বিপদের দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন বলেও বলেছেন। পোস্টটা করার সময় ঐন্দ্রিলার কথা মাথায় ছিল না। পরে বুঝলাম থাকলে ভালো হতো। যাদের দুঃখ দিলাম, দুঃখিত। মার্জনা করবেন।’
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ঋত্বিক আরও লেখেন, ‘আসলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার মাধ্যম হিসাবে ফেসবুকের পাবলিক পোস্ট কেমন? বা প্রার্থনার ডকুমেন্টেশান রেখে দেওয়ার তাগিদ অনেকের মধ্যে অনেক দিন ধরেই দেখছি বলে কথাগুলো মাথায় এসেছে। ঐন্দ্রিলার জন্য সবাই মন থেকে প্রার্থনা করছেন, করবেনও। চাইলে ফেসবুকেও করুন। আমাদের সবার চাওয়া সবাই তার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসুক।’