খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল : মির্জা ফখরুল

গে‌জেট ডেস্ক

পিলখানায় ২০০৯ সালে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার নিহত হওয়ার ঘটনাকে শুধু বিদ্রোহ বলতে নারাজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘যে কথাটা সব সময় বলা হচ্ছে—এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না, একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল। সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেওয়া ছিল মূল কারণ।’

রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে আজ শুক্রবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হলেও গত ১৩ বছরে একটিরও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে কথাটা সবসময় বলা হচ্ছে, এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না, একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল। এর পেছনের মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেওয়া। সেটাই সেদিনের উদ্দেশ্য ছিল।’

ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নৃশংসতা ছিল সবচেয়ে বেশি। বিডিআর বিদ্রোহের পর সে বাহিনী পুনর্গঠনের সময় সেটির নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়। এ ছাড়া বাহিনীর ইউনিফর্মও পরিবর্তন করা হয়।’

১৩ বছরেও তদন্ত করে প্রকৃত সত্যতা উদঘাটন করা সম্ভব না হওয়ায় তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এর পেছনে কারা ছিল, কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছিল? ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের এত কর্মকর্তা চলে যাননি। এখানে ৫৭ জন কর্মকর্তা চলে গেছেন, একজন সৈনিক চলে গেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদের বিচার করা হয়েছে। এর পেছনের শক্তি কারা, সে সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট এখনও আমরা পাইনি। সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল, তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘জাতির সে গৌরব, যাঁরা জাতিকে-দেশকে রক্ষা করার জন্য শপথ নিয়েছিলেন, একটা মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁরা চলে গেছেন, তাঁদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করতে এসেছি, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে এসেছি, তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন তাঁদের বেহেশত নসিব করেন।’

এ ছাড়াও শ্রদ্ধা জানাতে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ ইব্রাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!