আর কিছুক্ষণ পরেই ১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহর। বাঙালী জাতির জন্য একটি গর্বের দিন। বাঙালীর বিজয়ের দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে বাঙালী পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাস্থ করে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। সৃষ্টি হয় বিশ্বের মানচিত্রে নতুন একটি স্বার্বভৌম দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে খুলনা নগরীকে। বিভিন্ন ভবন ও সড়কদ্বীপকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। নগরীর জোড়াগেট থেকে শিববাড়ি মোড় এবং সেখান থেকে রয়্যাল মোড় পর্যন্ত সড়ক দ্বীপগুলোকে বর্ণিল রঙের আলোকসজ্জা করা হয়েছে। যা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন।
রয়্যাল মোড়ে কথা হয় নাসিরুদ্দিন শাহের সাথে। তিনি বেসরকারি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। সারাদিনের ব্যস্ততার কারণে বের হওয়ার তেমন সুযোগ পাননি। পরিবারের সকলের আবদারের কারণে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। আলোকসজ্জা দেখে পরিবারের ছোট সদস্যরা বেশ খুশি। তিনি বলেন, বিজয় অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা বড় কঠিন। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হয়ে আমরা আজ স্বাধীন। মুক্ত বাতাসে আজ আমরা ঘুরে বেড়াতে পারছি শুধুমাত্র এ বিজয়ের জন্য। তাই এদিনে সকল শহীদের কথা মনে রেখে কিভাবে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করা যায় সেদিকে সকলের লক্ষ্য রাখা উচিত ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড