আগামী ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় দৌলতুন্নেছা কিন্ডার গার্টেন (সিটি ‘ল’ কলেজ)-এ শনিবার দিনভর বিজয় মেলার আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা ও পিঠাসহ নানা ধরণের স্টল। গুণীজন স্মৃতি পরিষদ এর আয়োজক।
সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। বৃহত্তর খুলনা জেলা মুজিববাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রধান অতিথি হিসেবে পতাকা উত্তোলন ও অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৯’র ছাত্রনেতা শ্যামল সিংহ রায়, রূপান্তরের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, সিটি ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল, বিশিষ্ট নাগরিক আম্বিয়া খাতুন, মানবাধিকার কর্মী এড. মো: মোমিনুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিএল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর জাফর ইমাম। সঞ্চালনায় ছিলেন নারী নেত্রী এড. শামিমা সুলতানা শিলু। স্বাগত ভাষণ দেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র নাথ সেন।
এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, মুক্তি শব্দটি জাতির জন্য আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর জাতির অনেক অগ্রগতি এবং উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্র অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আমরা যুদ্ধ করে পাকবাহিনীর পরাজিতের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। ৬৬ সালে নিজের আঙুলের একটি অংশ বিশেষ কেটে রক্ত দিয়ে পোস্টারে স্বাধীনতার কথা লিখেছি। এই স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য বন্দুকের দোকান লুট করতে হয়েছে। জীবনকে বাজী রেখে ইউডিএফ ক্লাব, গল্লামারী রেডিও সেন্টার, পাইকগাছা, কপিলমুনি, বারোআড়িয়া ও শিরোমণি এলাকায় যুদ্ধ করেছি। অনেক সহযোদ্ধাকে হারাতে হয়েছে। অনেকেই পঙ্গু হয়েছে। আত্মত্যাগ ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ প্রিয় স্বাধীনতা। আজকের প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে হবে।
সকালের অনুষ্ঠানের শেষপর্বে অতিথিরা স্টলগুলো ঘুরে-ঘুরে দেখেন। এ সময় শিশু-কিশোর ও মহিলারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকুর কাছ থেকে যুদ্ধের নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান।
খুলনা গেজেট/এনএম