ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ কোনো বিদেশি ব্যক্তিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকা উচিত।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি পিটার হাস বলেছেন, ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
পিটার হাসের এ বক্তব্য আদালত অবমাননা উল্লেখ করে হাইকোর্টের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তখন হাইকোর্ট তার কাছে জানতে চান, কোনো রাষ্ট্রদূত যদি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেন সেক্ষেত্রে আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কি না?
তখন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত কোনো রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকের বিরুদ্ধে কনটেম্পট প্রসিডিং ড্র করতে পারে না এবং তলব করতে পারে না। তবে পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন।
এরপর আদালত বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনৈতিকদের সতর্ক থাকা উচিত।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ড. ইউনূসকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের আতিথেয়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
আরও লেখা হয়, ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
খুলনা গেজেট/এমএম