ছাত্র-জনতা বিজয়কে নস্যাৎ করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যদি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে না পারি তাহলে দেশে যে সংকট তৈরি হবে, তাতে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দেশ। বিগত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করতে চায় বলেই ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। এর থেকে বড় সংস্কার বাংলাদেশে আপাতত আর কেউ দিতে পারেনি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় দৌলতপুরস্থ আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে “রক্তস্নাত দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখতে এবং সাম্যের এক নতুন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দৌলতপুর থানার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, আইনের সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে উত্তরণের জন্যই বিএনপির জন্ম হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্মারা আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নতুন কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারে। আওয়ামী লীগ দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিল। দেশের সম্পদ লুট করে প্রতিবেশী দেশের ফায়দা করেছে শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে দিল্লির কাছ থেকে গ্যারান্টি পেয়েই শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছেন। দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক মো. খবির উদ্দিনের সভাপতিত্ব করেন ও ইঞ্জি: নুর ইসলাম বাচ্চুর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন শেখ সাদী, আবুল কালাম জিয়া, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন কবীর, কাজী মিজানুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, রুবায়েত হোসেন বাবু, কাজী নেহিবুল হাসান নেইম, শেখ রিয়াজ শাহেদ, হেলাল আহম্মেদ সুমন, শেখ কামরুজ্জামান, ব্যবসায়ী খন্দকার আলমগীর কবির, সরদার আরব আলী, শেখ আনসার আলী, অধ্যা: জয়নাল আবেদীন, এস, এম হমায়ুন কবির, লাভলী খাতুন, শাহাজাহান মোল্লা, ইঞ্জি: ইয়াসির আরাফাত, মিজানুর রহমান মিজান, শেখ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মো. নাজিম, শামিম আজাদ খান মিলু, খন্দকার ইকবাল কবির, খন্দকার লিটন কবির, গোলাম মোস্তফা, তিলোক গোস্বামী, আশুতোষ সাধু, এম এম জসিম, আলআমিন সরদার রতন, সেলিম আহসান, ফারুক হোসেন আশা, আল আমিন লিটন, মিজানুর রহমান মৃদুল,রবিউল ইসলাম,মেহেদী হাসান, খন্দকার ইকবাল, খন্দকার লিটন, মুকুল শেখ, নাসির হাওলাদারসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। – খবর বিজ্ঞপ্তির।