বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ যদি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, বিএনপিও নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে অনড় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকায় বিএনপির আসন্ন সমাবেশকে ঘিরে সরকার নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও হয়রানি করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গত ৩০ নভেম্বর থেকে গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে এক হাজার ৩১৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া গত ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৮৪ জনকে।
বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে পুলিশের টানা হেঁচড়ায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসিচব বলেন, বিএনপি’র মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এক পরিকল্পিত নীলনকশায় মেতেছে আওয়ামী সরকার। সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল তৈরির পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী লীগকে গণবিচ্ছিন্ন জানিয়ে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এতোটাই গণবিচ্ছিন্ন যে, অসংখ্য মানুষের শব্দে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রে দলমত, চিন্তা নির্বিশেষে সকলের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটি বিশ্বাস করেন না, সেজন্য তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে মানবতার অস্তিত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন।
লিখিত বক্তব্যে রিজভী আরও বলেন, ঢাকার গণসমাবেশকে নিয়ে টালবাহানায় আবারো প্রমাণিত হলো- অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসর’রা কখনোই গণতান্ত্রিক শক্তির মিত্র হতে পারে না। জনগণই বিএনপি’র সবচেয়ে বড় বন্ধু। এত ষড়যন্ত্র চক্রান্তের মাঝেও বিএনপি এখনও দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।
বিএনপি’র গণসমাবেশকে নিয়ে সরকারের কপালে কেনো দুশ্চিন্তার ভাঁজ, এটা বুঝতে পারছেন না জানিয়ে বিনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র অভিলাষী নেতারা গণসমাবেশকে নিয়ে বানোয়াট গল্প প্রচারে নেমেছে। আর এই বানোয়াট গল্পকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন অতি উৎসাহী হয়ে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।