বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত ৯টায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন।
তিনি জানান, পেনাল কোড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া গৌরনদী উপজেলার বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার ও জাফরসহ নামধারী ৭০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহেল রাঢ়ী।
মাহিলারা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি শহীদ সরদার জানান, তারা ১০/১২ জন সকাল ৬টার দিকে মাহিলারা বাজারের সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে ৭০/৭৫টি গাড়ির বহর এসে বাজারের সামনের মহাসড়কে থামে। তখন গাড়ি থেকে ক্যাডাররা নেমে বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। তারা কার্যালয়ের মধ্যে থাকা টিভি, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে।
শহীদ আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা সাতটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা মোটর সাইকেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছে। হামলাকারীরা মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাস কবিরাজকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সঙ্গীত সিকদারসহ আরও দুইজন আহত হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় এই মামলা করা হয়েছে।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান জানান, বরিশালে গণসমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে সকালে মাহিলারায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা বহরের আটটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে যুবলীগ নেতা সোহেল রাঢ়ী সাজানো ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।