খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা, সাতক্ষীরার সাবেক এসপিসহ ১৮ জনের নামে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিশ, সদর থানার সাবেক ওসি মহিদুল ইসলাম, সাবেক পিপি এড আব্দুল লতিফ সহ ১৮জনের নামে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হযেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকর গ্রামের মৃত মোক্তার আলীর ছেলে মোঃ আজগর আলী বাদী হয়ে রোববার (২৫ আগষ্ট) সাতক্ষীরা আমলী আদালত ১ এ এই মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি জাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের মৃত মোক্তার আলীর ছেলে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবিরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো, সদর থানার সাবেক ইন্সপেক্টর শেখ সেকান্দার আলী, সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নাবের আলী, রনি, জনি, ইমামুল হক পলাশ, আনারুল ইসলাম, সাইফুল ও শিমুল, বারিয়াডাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলাম, দেবনগর গ্রামের মুনছুর আলী ও হামজার আলী এবং কাশেমপুর গ্রামের জাফর সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, তৎকালীণ সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম আতোতায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর মামলার কতক আসামী ব্যদী সহ তার পরিবারের লোকজনদের গুম হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এরই জের ধরে বাদীর আপন ভাই মৃত ভিকটিম বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেসময় ভিকটিম হুমায়ুন কবির ঢাকায় গাড়ি চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। ঘটনার অনুমান ১০ দিন পূর্বে আসামী তাহাদের ব্যবহৃত মাইক্রো যোগে ঢাকা থেকে ভিকটিম হুমায়ুন কবির সহ মামলার ১নং স্বাক্ষী রাজু, এস, আই মফিজুল ও মধু ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। এসময় পথিমধ্যে এস, আই মফিজুলকে ছেড়ে দেয় এবং রাজু ,হুমাযুুন কবির ও মধুকে হেফাজতে রাখে। পরে রাজুকে শারীরিক নির্যাতন করে কোর্টে সোপদ্দ করে এবং মধুকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। এসময় মামলার ভিকটিম হুমায়ুুন কবিরকে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রেখে শারীরিক নির্যাতন দিতে থাকে। পরে হুমায়ুনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে পিপি এড আব্দুল লতিফের মধ্যস্ততায় ভিকটিমের স্ত্রী চম্পাখাতুনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ াটাক উৎকচ গ্রহণ করে।

এঘটনার পরর আসামীরা ভিকটিম হুমায়ন কবিরকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে পিঠের বাম পার্শ্বে ও বুকে গুলি করে হত্যার পর ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাত ৪টার দিকে কাশেমপুর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপরে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিম হুমায়ুন কবির ক্রয় ফায়ারে নিহত হয়েছে মর্মে প্রচার করে। বাদীর পরিবার নিহত হুমায়ুন কবীরকে পোষ্ট মোডেম শেষে পুলিশের নিকট থেকে নিয়ে নিজের বাড়িতে দাফন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি আখম শামসুদ্দোহা খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তৎকালীন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ালীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় বাদী এবিষয়ে কোন প্রতিকার পাইনি। ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!