খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের সাথে জোট করে দেশে নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি আরো বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল দাবি করে। অথচ তারা ’৭১-এর স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের সাথে তারা জোট ছাড়া রাজনীতি করতে পারছে না। কারণ বিএনপি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে মাষ্টার মাইন্ড হয়ে অশান্ত করা, ২০১৪ সালে হেফাজতে ইসলামকে লেলিয়ে দেয়া, চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগ করে জীবন্ত মানুষকে দগ্ধ করে হত্যা করা, গুলশানের হলিঅটিজনে জঙ্গী হামলা করা সহ দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সেরা অর্জন পদ্ম সেতু ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন। সেই অর্জনকে ম্লান করতে নানা ধরনের নাশকতার লিপ্ত হয়েছে। তারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করতে দিবে না বলেই আজ দেশ বিধ্বংসী নাশকতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন অবস্থাতেই তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল করতে দেয়া হবে না। দেশবাসিকে সাথে নিয়ে বিএনপি জামায়াতের সকল নাশকতার দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
রবিবার বিকাল ৪টায় মহানগর ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করা, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসনে আরা চম্পা।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নাজনিন নাহার কনা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান জামাল, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, হাফেজ মো. শামীম, অসীত বরণ বিশ্বাস, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মো. আবু হানিফ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, মমতাজ শিরীন ময়না, আইরিন চৌধুরী নিপা । এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ফারুক আহমেদ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, পারভীন ইলিয়াছ, শাহীনা লিপি, কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, জেসমিন সুলতানা শম্পা, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, শারমিন রহমান শিখা, খাদিজা কবির তুলি, নুরজাহান রুমি, তাসলিমা আক্তার লিমা, শামসুন নাহার, শাপলা লিলি, লিভানা পারভীন, তাহিরা নন, হাসনা হেনা, ফেরদৌসী আলম রিতা, রেখা খানম, সবনম মুস্তারী বকুল, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, মনোয়ারা বেগম, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আফরোজা জেসমিন বিথী, চিশতি মোস্তারী বানু, নাসরিন আক্তার তন্দ্রা, এ্যঅড. হালিমা খাতুন শিউলি, নাজনীন বিউটি, রোকেয়া রহমান, আঞ্জু বেগম, জয়নাব বেগম, রিমা আক্তার, রাখি বেগম, শিলা, রোমেছা বেগম, সালেহা বেগম, সোনিয়া আক্তার, রোকেয়া বেগম, প্রমুখ।