খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত উগ্রধর্মী সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদী দল। তারা নিজেরা বিশ্বে সন্ত্রাসী দল হিসেবে বারবার আখ্যায়িত হয়েছে। এখন দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সেজন্যই বিএনপির নেতাকর্মীরাও সেইরূপ ভাবে জঙ্গী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তারা বিদেশীদের অর্থে দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে ক্ষতি করছে। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছিলো ঠিক তখনই বিএনপি জামায়াত পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম নামে দু’টি সংগঠন সৃষ্টি হয়। ওই সংগঠন দু’টি বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় প্রেসক্লাবসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একযোগে প্রায় ৫শ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ২ জন নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হয়। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে ‘সিরিজ বোমা হামলা’ দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. রজব আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মো. শামীম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, এস এম আকিল উদ্দিন, বাবুল সরদার বাদল, শেখ আবিদ উল্লাহ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাছরিন আক্তার, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, কাউন্সিলর এস এম রফিউদ্দিন রফিক, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, নুর জাহান রুমি, নূরিনা রহমান বিউটি, আঞ্জুমনোয়ারা বেগম, আফরোজা জেসমিন বিথী, মো. শাকিল আহমেদ, মল্লিক নওশের আলী, আব্দুল ওহাব, মো. মোক্তার হোসেন, আলী আকবর মাতুব্বর, তোতা মিয়া ব্যাপারী, কবির পাঠান, শওকাত হোসেন, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, মেহজাবিন খান, মো. আজিম উদ্দিন, সঞ্জয় কর্মকার, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মাছুম উর রশীদ, জহির আব্বাস, সৈয়দ সালমান জামান, ঝলক বিশ্বাস, শংকর কুন্ডু, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে সিরিজ বোমা হামলায় নিহত শোকাবহ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আব্দুর রহীম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/কেডি