কয়েকদিন ধরেই বিপরীতমূখী বক্তব্য দিয়ে আসছেন দেশের দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং জামায়াত। একদল দ্রুত নির্বাচন চাইছে আরেকদল চাচ্ছে পূর্ণ সংস্কারের পর নির্বাচন। এছাড়া বিভিন্ন সময় একদল অন্যদলকে কটুক্তি করে মন্তব্য করছে।
এ নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে তারা দুই দল একে অপরের বিরোধিতা করছে। অনেকে মনে করছে নির্বাচন যত কাছে আসছে একসময় জোটে থাকা বিএনপি-জামায়াত একে অপরের কাছ থেকে তত দূরে সরে যাচ্ছে। অনেকে বলছেন যে বিএনপি ও জামায়াতের এই বিরোধটা অনেকটা আদর্শিক, যার উৎপত্তি ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।
কিন্তু এই কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। দেশের একটি গণমাধ্যমে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন আমাদের বিরোধিতা করে, আমি এটা বিশ্বাস করতে চাই না। এটাই যদি হতো, তাহলে ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি, তখন তাহলে তারা আমাদের সমর্থন কেন চেয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন যিনি নেত্রী ছিলেন, তিনি তো এখনো জীবিত আছেন। এখনো তিনি দলের চেয়ারপারসন। তখন তো জামায়াত কোনো স্বার্থ-সুবিধার জন্য বিএনপিকে ওই সমর্থন দেয়নি, দেশের স্বার্থেই সমর্থনটা দিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে যখন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন দেশকে অতিষ্ঠ করে তুলল, তখন দূর থেকে শুধু সমর্থন দেওয়া নয়, একটা লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে চারদলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। কই, তখন তো এ প্রশ্ন আসেনি। এখন কেন এ প্রশ্ন আসছে, এর জবাব তো তারা (বিএনপি) দেবে।
দূরত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনা দূরত্ব নেই। প্রতিটি দলের নিজস্ব কর্মসূচি ও পলিসি থাকে। সেই পলিসি ও কর্মসূচির দিক থেকে বিভিন্ন দল জনগণের কাছে আসবে, জনগণ বাছবিচার করে দেখবে। শুধু বক্তব্য নয়, বক্তব্যের সঙ্গে প্রতিটি দলের পারফরম্যান্সকেও বিবেচনায় নেবে।’
সূত্র: প্রথম আলো
খুলনা গেজেট/এএজে