বিএনপির ২২ অক্টোবর খুলনার সমাবেশকে ঘিরে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পরেছে মোংলার সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে অনেকে বাস স্টান্ডে এসে গাড়ি না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শেষে আবার বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দুরপাল্লার যাত্রীদের।
পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে মোংলার খেয়াঘাট সহ বাস স্টান্ডের হোটেল, চায়ের দোকান ও ফুটপাতে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলিতে।
হোটেল ব্যাবসায়ি নুর ইসলাম বলেন অন্য দিন যেখানে ৫/৭ হাজার টাকা বেচাকেনা করি সেখানে দুপুর ২টা পযন্ত মাত্র ৩০০/৪০০ টাকার চা বিক্রি করতে পেরেছি, এখনও পর্যন্ত ভাতের কোন কাষ্টমার আসেনি মনে হচ্ছে ভাত তরকারি নষ্ট হয়ে যাবে।
চা বিক্রেতা ওলি বলেন ধর্মঘটের কারণে কোন যাত্রী না থাকায় বেচা কেনা নেই বললে চলে।
খেয়া মাঝি রহমান বলেন, অন্য সময় যেখানে আমরা নিঃশ্বাস নেবার সময় পাইনা সেখানে আজ অলস সময় পার করছি। যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কম।
স্টান্ডে বসে থাকা যাত্রী কংকন মন্ডল বলেন আমার মেয়ে যশোর থাকে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী প্রায় দুই ঘন্টাবসে আছি কোন গাড়ি পাচ্ছিনা। কিভাবে যাবো বুজতেছিনা খুব বিপদে পড়েছি। মাথায় কোন কাজ করছেনা।
স্টান্ডে বসে থাকা পা হারানো ভিক্ষুক আলমগীর বলেন, যাত্রি না আসাতে আজকে কেই তেমন ভিক্ষা পায়নি, সকাল থেকে এই দুপুর পযন্ত রোদে বসে থেকে আর পারছিনা তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
মোংলা উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিভিন্ন উপায়ে রাত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা খুলনায় যেতে শুরু করেছে। যে কোন মূল্যে আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ সফল করতে ২২ তারিখ খুলনায় উপস্থিত থাকবে। কোন প্রকার হুমকি ধামকি এবং পরিবহন বন্ধ আমাদের দাবিয়ে রাখা যাবেনা।
খুলনা গেজেট/ এসজেড