বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল খোলা চিঠি দিয়েছেন। পাঁচ পাতার পরিধি নিয়ে লেখা এ চিঠিতে খুলনা বিএনপি’র সাংগঠনিক পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি পদ বঞ্চিত নেতাদের অবস্থানের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। তিন মাস আগে তারেক রহমানের কাছে তিনি ১৯ পাতার চিঠি লেখেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু ছয় মাস আগে নগর বিএনপি’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপি’র মনোনয়নে খুলনা-২ আসন থেকে নবম সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বাধীন নগর বিএনপি’র কার্যনির্বাহী কমিটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিলুপ্ত করা হয়। আহবায়ক হিসেবে নগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন কেসিসি’র সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল আলম মনা। এ কমিটি পূণর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে ৯ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম মঞ্জু স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
দলের শৃংখলা বিরোধী অভিযোগ এনে তাকে কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার অনুসারীরা তৃণমূল বিএনপি নামের সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন দিবস পালনে অংশ নেন। ইফতার মাহফিলে তার অনুপস্থিতিতে বড় ধরণের শো-ডাউন হয়। সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু ঢাকা ও খুলনা মিলে অলস সময় কাটাচ্ছেন। মাঝে-মধ্যে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তার অনুসারীদের মামলা-মকদ্দমারও খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সম্প্রতি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে হামলার ঘটনায় বিবৃতির মাধ্যমে তীব্র নিন্দা করেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসী তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে কোন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে না। খুলনা বিএনপির কমিটি পূণর্গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি পাঁচ পাতার চিঠি লিখেছেন। থানা কমিটিগুলো গঠন করতে না পারার জন্য বর্তমান নেতৃত্বকে দোষারোপ করেছেন। পদ বঞ্চিতদের দায়িত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে আলাপকালে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি আকার-ইঙ্গিতে স্বীকার করেন। সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নেয়া সম্পর্কে বলেন, পদ বঞ্চিত হওয়ায় তাকে কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এটুকুই বলেন, বিএনপি’র নীতি আদর্শকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন এবং আগামীতেও রাখবেন।