বিএনপির পর এবার চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির ডাকা কর্মসূচির মধ্যে আগামী ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ ও ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক অবরোধের কথা বলা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী মহাজোট সরকার ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
জনগণ এ সরকারকে ভোট দেয়নি। অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ স্টাইলে প্রহসনের নির্বাচনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। তারা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের ফরমায়েসি তফসিল ঘোষণা করিয়েছে। দেশবাসী ঘৃণাভরে এই ফরমায়েসি তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ টি এম মা’ছুম বলেন, জনগণ স্বৈরাচারী সরকারের পাতানো ও তামাশার নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী দলের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছে। জনগণ জামায়াতসহ বিরোধী দল ঘোষিত অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। আমরা সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
বিবৃতিতে জনগণরে উদ্দেশে বলা হয়, প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের চাপ, হুমকি, ভয়ভীতি অগ্রাহ্য করে সব ভোটার ভাই ও বোনেরা নিজে ভোটদান থেকে বিরত থাকুন এবং অপরকে বিরত রাখুন। ভোট নেওয়ার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন। জালেম, স্বৈরাচার, ভোটাধিকার হরণকারী ও গণতন্ত্র ধ্বংসকারী তাঁবেদার সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসুন।