বিএনপির নেতারা নয়, আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার সারাদেশে চলমান তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের বাড্ডা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, বিএনপি নেতারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা ও তাদের স্বজনরা। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হতাশা থেকে শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন। শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে সে টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়-স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরাতো আছি জেলে আসা যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কোন জুলুম-নির্যাতনের কাছে মাথানত করবো না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করেনি।
বরং শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবিতে, বেতনের দাবিতে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে ৪ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রানা প্লাজায় প্রায় হাজারো শ্রমিক হতাহত হলো, তাজরিন গার্মেন্টে ১০০ শ্রমিক প্রাণ হারালো, সেগুলো মানুষ ভুলে যায়নি।
দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ একমাসের মতো দেশে খরা ও অগ্নি প্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।
বিএনপি নেতা বরকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম