সাড়ে আট মাসের মাথায় আবারও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতারা বলেছেন, কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ডিবির সদস্যরা।
অভিযান শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কার্যালয়ের ভেতর থেকে শতাধিক ককটেল, ৫-৬ বোতল পেট্রল, বিপুলসংখ্যক লাঠিসোঁটা ও ৬০টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় ছাত্রদলসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণও রয়েছেন।
বুধবার বিএনপির কার্যালয়ের আশপাশের ফুটপাতেও পথচারীদের হাঁটতে দেওয়া হয়নি। কার্যালয় এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বিএনপি কার্যালয়ের একজন কর্মচারী জানান, গতকাল রাতে পুলিশ তাঁদের বের করে দিয়ে কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরে অভিযান চালায়।
এ অভিযানকে ‘সাজানো নাটক’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের গায়েবানা জানাজার পর এ বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আগের মতো সম্পূর্ণ নাটক সাজিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে কতগুলো ককটেল, বোমা, লাঠিসোঁটা রেখে দিয়ে সেখানে তারা ছবি তুলে আবার বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার রাতে অভিযানের পর রাত একটার দিকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযানকে ‘নোংরা তামাশা’ বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা ফিতা লাগিয়েছিল পুলিশ। সাড়ে আট মাসের মাথায় দ্বিতীয় দফায় তা করা হলো।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ক্রাইম সিন’ লিখে ঘিরে রাখার অর্থ হচ্ছে, ওই বেষ্টনী পেরিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে কেউ প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। অপরাধ তদন্তের জন্য সেখান থেকে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করছে। পুলিশের তদন্তকাজের এ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয় কার্যত বন্ধ থাকবে।
খুলনা গেজেট/এইচ