হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমী। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা ও রাজনীতিবিদরা অংশ নেন। আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ধউর গ্রামে অবস্থিত সুবহানিয়া মাদরাসায় তাকে দাফন করা হবে। জানাজা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। রাস্তায় মাইক লাগানো হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় মানুষের ঢল নামে। ভোরেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ফজরের নামাজে অংশ নিয়েছেন । তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। জানাজার আগে বায়তুল মোকাররমের আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, স্মরণকালের বৃহৎ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বয়ান করেন আল্লামা কাসেমীর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান জামিয়া বারিধারার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান, নিজ দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা জিয়াউদ্দিন, হেফাজতের পক্ষ থেকে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও আল-হাইআর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। তারা স্মৃতিচারণ করে আল্লামা কাসেমীর কর্মবহুল জীবনের নানাদিক নিয়ে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ১লা ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট হওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নূর হোসাইন কাসেমীকে। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম