সাতক্ষীরায় ভেজাল মধু তৈরি করে বাজারজাতকরণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় প্রায় ১২০ মন ভেজাল মধু উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের সিংগা বাজারের পাশে একটি বাড়িতে থাকা মধু তৈরির কারখানায় এই অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
সাঁজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মোঃ কামাল হোসেন (৪৪)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিন কদমতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। কামাল হোসেন গাজী দীর্ঘ দিন ধরে ভেজাল মধু তৈরির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের সিংগা বাজার থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি বাড়িতে ভেজাল মধু তৈরির কারখানা রয়েছে। সুন্দরবন উপকূলের ভেজাল মধু ব্যবসায়ি ও ভেজার মধূর কারিগর কামালা হোসেন সিংগা বাপজারের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে ভেজাল মধু তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিল। প্রথমে চিনি ও পানির সাথে ফিটকারি মেশানো হয়। পরে রঙের সাথে স্বাদ বাড়ানোর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে আধা কেজি খাটি মধুর সাথে এসব মিশ্রণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় ২ কেজি মধু। এভাবে বিপুল পরিমান ভোজাল মধু তৈরী করে খাটি মধু হিসাবে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়।
মোকলেছুর রহমান আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে সিংগা বাজার সংলগ্ন বাড়ির ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এসময় আটক করা হয় ভেজাল মধু ব্যবসায়ি কামালা হোসেনকে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের আদালতে কামাল হোসেনকে সোপর্দ করা হয়। আদালত কামালা হোসেনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
তিনি আরো জানান, অভিযানকালে ১২০ মন ভেজাল মধু আটকসহ কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া ভেজাল মধুর নমুনা ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যামন আদালত পরিচালনা করে আটক ভেজাল মধু ব্যবসায়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।
খুলনা গেজেট /এমএম