প্রতিটি বাস স্টপেজে প্রকাশ্যে ও যাত্রীদের কাছে সহজে দৃশ্যমান এমন ভাড়ার তালিকা প্রদর্শনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে বিআরটিএ’কে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. আবু তালেব শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন, আইনজীবী মোখলেসুর রহমান ও ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী আবু তালেব জানান, রুলে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করতে পারার ব্যর্থতা, আইনের ৩৪(৩) ধারার বিধান প্রতিপালনে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্য স্থান ও সহজে দৃশ্যমান স্থানে না টানিয়ে ভাড়া আদায় করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা এবং আইনের ৩৪(৪) ধারার বিধান মোতাবেক যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিক, কন্টাক্টরদের বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ করার ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইন পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এই রুল বিবেচনাধীন থাকায় অবস্থায় এক মাসের মধ্যে বাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্যে ও যাত্রীদের কাছে সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ এবং ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে তালিকা প্রদর্শনের জন্য ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিআরটিএর প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আবু তালেব।
সড়ক পরিবহন আইনের ৩৪ (৩) ধরায় বলা হয়েছে, কোনো গণপরিবহন, সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন ব্যতীত, যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। (৪) কোনো গণপরিবহনের মালিক, চালক, কন্ডাক্টর, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবে না।
১২২ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।
খুলনা গেজেট/এনএম