বাস থেকে ফেলে দিয়ে বহুল আলোচিত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র পায়েল হত্যার ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামি হলেন, হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন, সুপারভাইজার জনি ও সহকারী ফয়সাল। রবিবার ( ১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু আবদুল্লাহ ভুঞা। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন হুজজাতুল ইসলাম।
রায় ঘোষণার সময় তিন আসামির সবাই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ে পায়েলের মামা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম রায়কে ‘মিডিয়া ট্রায়াল ও লোক দেখানো’ আখ্যায়িত করে বলেন, আসামিপক্ষ এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন এবং সেখানে ন্যায়বিচার পাবেন।
গত ৪ অক্টোবর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ মামলায় জামিনে থাকা তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বিচারক রায়ের জন্য আজকের (০১ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে মুন্সিগঞ্জে বাস থেকে নেমে, আবারও ওঠার সময় দরজার আঘাতে আহত হন পায়েল। এ ঘটনার দায় এড়াতে তাকে হানিফ পরিবহনের হেলপার, ড্রাইভার ও সহকারী মিলে ব্রিজ থেকে ফেলে দেয় খালে। ঢাকায় পৌঁছে ঘুম ভেঙে দু’বন্ধু দেখতে পান বাসে পায়েল নেই। সুপারভাইজারের ব্যাখ্যা ছিলো পায়েল নিজেই মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নেমে গেছে। দুদিন পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় পায়েলের মরদেহ।