১৯ দিনের কঠোর লকডাউন শেষে বুধবার (১১ আগস্ট) চালু হয়েছে গণপরিবহন। বাসস্ট্যান্ড গুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়, স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই। সড়কে মোট পরিবহনের অর্ধেক চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা মান হচ্ছে না। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন বাসস্টান্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট ) রাতে হানিফ, ঈগল, বনফুল, টুঙ্গিপাড়াসহ কয়েকটি বাস খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সকালেও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানেও স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে যাত্রীদের অনেক উদাসীনতা দেখা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য বিধি যথাযথ অনুসরণ করে বাসের আসন সংখ্যক যাত্রী নিয়ে অর্ধেক পরিবহন চলবে। বাস্তবতা দেখা গেছে ভিন্ন। বিভিন্ন নামের গণপরিবহন একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর যাত্রী নিয়ে বের হচ্ছে। ড্রাইভার ও হেলপারসহ যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না।
রূপসা ঘাটের বাসস্ট্যান্ডেরও একই অবস্থা, ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস। এখানেও সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ, নেওয়া হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া। সামাজিক দূরত্ব থাকলেও অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিপু খুলনা নিউমার্কেট থেকে বরিশাল যাচ্ছেন মেট্রোপলিটন পরিবহনে। তিনি জানান, প্রায় সময় তাকে বরিশাল যেতে হয়। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মাঝে মোটরসাইকেলযোগে বরিশাল যেতে ২৫শ’ টাকা খরচ করতে হয়েছে। আজ একই দূরত্বে যেতে তার খরচ হচ্ছে মাত্র ২৫০ টাকা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও লকডাউনের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মানুষের সচেতনতার প্রয়োজন আছে। সচেতন না হলে লকডাউন দিয়ে কোন লাভ হবে না।’
খুলনা রয়্যাল মোড়ে ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার দারা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পাঁচটি গাড়ি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। যাত্রী সংখ্যা বেশ ভাল ছিল। সকাল ছয়টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত তিনটি গাড়ি ছেড়ে গেছে। তিনটা গাড়ির সিডিউল মিস করেছি। কারণ খুলনায় কোন গাড়ি নেই সব গাড়ি ঢাকায় রয়েছে।’
সোহাগ পরিবহনে টিকিটম্যান মোঃ ইসমাঈল হোসেন বলেন, ‘রাতে ৬ টা গাড়ি ছেড়েছে। সকালে ৩ টা। অনেক ট্রিপ মার খাচ্ছি। যাত্রী অনেক আসছে কিন্তু বাসের অভাবে সিডিউল মার খাচ্ছি’।
সোনাডাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সেতু ডিলাক্স পরিবহনের লাইনম্যান জামিল আক্তার বাচ্চু জানান, বাসের টিকিট ভাড়া আগেরটাই রয়েছে। যাত্রীর যে পরিমাণ চাপ তাতে ১৩ মিনিট অন্তর অন্তর বাস ছাড়তে হচ্ছে তাকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই